বিদেশ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক বিশেষ দূত গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জান্তার বিভিন্ন অভিযানে দেশটির প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এখন ঘরছাড়া। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। এর কয়েকদিন পর থেকেই সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু সাধারণ মানুষকে বিক্ষোভ থেকে প্রতিহত করতে অভিযান শুরু করে সামরিক জান্তা সরকার। মিয়ানমারের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রিউস গতকাল বুধবার এক টুইট বার্তায় বলেন, জান্তা সরকারের আক্রমণে মিয়ানমারের আড়াই লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এটা জানতে পেরে সত্যিই অবাক হয়েছি। তিনি বলেন, এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশ্বকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স নামের একটি মানবিক সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর অভিযান এবং বিমান হামলার কারণে আনুমানিক কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষ উত্তরাঞ্চলীয় কারেন রাজ্য থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ব্রিগেড ৫’য়ের মুখপাত্র পাদোহ মান মান গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, দুই হাজারের বেশি মানুষ মিয়ানমারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে পালাচ্ছে। এই লোকজন আর হয়তো দেশে ফিরবে না। তিনি বলেন, তারা সবাই তাদের গ্রামের কাছাকাছি জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে পুলিশের অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আটক হয়েছে আরও ৩ হাজার ৩শ জন। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণ-বিক্ষোভ দমনে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করেছে সামরিক সরকার। গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের সময় বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়।
Leave a Reply